কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হানের পরিবারের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত যুবক রায়হানের পরিবার আজ এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে।

পরিবারটি বলছে, এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা না হলে তারা কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন।

এদিকে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এ ঘটনাটিতে যে মামলা হয়েছে, তার এজাহারে কোন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ঘটনাটি আলোচনায় আসার পরই বন্দরবাজার ফাঁড়ির একজন উপপরিদর্শকের নাম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সামনে চলে আসে। ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারও করা হয়। এখন তার হদিশও মিলছে না।

সিলেট শহরের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই সিলেটে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।

৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে ‘হরতাল, অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচী’ পালন করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

রায়হানের মা সালমা বেগম অভিযোগ করেন পুলিশ তদন্তে ‘গাফিলতি’ করছে বলেই ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, “পুলিশ আমাদের বারবার বিভিন্ন সময়সীমা বেঁধে দিলেও শেষ পর্যন্ত কাউকেই আটক করতে পারেনি। এর আগে তারা নিজেরাই আমার ছেলের ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছিল। একবার বললো দুর্ঘটনা, একবার বললো স্ট্রোক করেছে, আবার একবার বললো গণপিটুনিতে মারা গেছে। পরে পিবিআইয়ের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তে উঠে এলো যে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।”

রায়হানের চাচা ও রায়হানের মা সালমা বেগমের বর্তমান স্বামী হাবিবুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার তাদের বাসায় এসে দুইদিনের মধ্যে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। দুইদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

ঐ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই’কে।

মি. হাবিবুল্লাহ বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট তারা।

মি. হাবিবুল্লাহ বলেন গত কয়েকদিনের মত আজও সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে।

“বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার সহ বৃহত্তর সিলেটের অনেক জায়গাতেই মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে। এখনই মিছিল বা হরতালের মত কঠোর কর্মসূচী আমরা দিতে চাই না। ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পর আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবো।

পাঠকের মতামত: